কেরোনায় মৃত খোকন সাহার সম্প্রদায় কিংবা তার স্বজনরা কেউ না আসায় পরিবারের অনুমতি নিয়ে তার মুখাগ্নি ও সৎকার সম্পন্ন করলেন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার ও তার সঙ্গীরা।
নারায়ণগঞ্জ শহরের গলাচিপা এলাকার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী খোকন সাহা, ৭ তলার ফ্ল্যাট ভবনের মালিক, ৭ বন্ধু মিলে এই ফ্ল্যাট বাড়িটি তৈরি করেছেন। ওই ভবনের ৪ তলাতে তিনি স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। বিত্ত বৈভব ধনসম্পত্তির কমতি নেই। রবিবার শারীরিক অবস্থা যখন প্রচন্ড খারাপ হয় তখন আশপাশের ফ্ল্যাটে থাকা উনার সেই বন্ধুদের এবং পরিচিত আত্মীয় স্বজনদের ডেকেছিলেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে। কিন্তু কেউ আর তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।
স্ত্রী ও ছোট দুই মেয়েই খোকন সাহাকে কোনো একটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে নামিয়ে আনছিলেন। সেইসময় নামানোর পথে সিঁড়িতেই তিনি মারা যান। এরপরও কেউ এগিয়ে আসেনি। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ খোকন সাহার মরদেহ সিঁড়িতেই পড়েছিল। কেউ একবারের জন্যও ছুঁয়ে দেখেনি। এমনকি স্ত্রী-কন্যার কান্নায়ও মন গলেনি কারো। বেলা ১২ টার দিকে খবর পেয়ে খোকন সাহার মরদেহ সংগ্রহ করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি ও তাঁর দলের লোকজন খোকন সাহার সৎকার সম্পন্ন করেন। মৃতের সম্প্রদায় কিংবা তার স্বজনরা কেউ না আসায় পরিবারের অনুমতি নিয়ে খোকন সাহার মুখাগ্নির কাজটিও করেন মাকসুদুল আলম খন্দকার নিজেই। করোনা ভাইরাস শুধুমাত্র মানুষের স্বার্থপরতার দিকটি উন্মোচন করেনি, মাকসুদুল আলম খন্দকারের মতো কিছু পূর্ণাত্মাকেও খুঁজে পেতে সহযোগিতা করেছে। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা আপনার জন্য।।
নিলয় চক্রবর্তী। ( https://www.facebook.com/profile.php?id=100031301378471 )
২৭শে এপ্রিল ২০২০ ইং।।

