করোনায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এ দুঃসহ সময়ে দেশের সকল ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পীদের জন্য আপদকালীন সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলি লাকি।
আজ সন্ধ্যায় সমাজকর্মী, অভিনেতা, উপস্থাপক শামীমা তুষ্টির সাথে এক ফেসবুক লাইভে এ সকল উদ্যোগের কথা তিনি জানান। বিভিন্ন জেলায় শিল্পকলা একাডেমির কামিটির মাধ্যমে শিল্পীদের তালিকা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। যে সব দুস্থ শিল্পীগন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন আমরা চেষ্টা করেছি তাদেরকে সহযোগিতা করার। এ ক্ষেত্রে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী জেলা অনুযায়ী আমরা সব ধরণের শিল্পীদের তালিকা প্রণয়ন করে পাঠান শুরু করেছি।
শিল্পীরা শিল্পীদের সুরক্ষিত রাখবে আবার শিল্পীরা জনগনকেও সুরক্ষিত রাখবে। আমাদের প্রতি ভালবাসা আর আস্থা আছে আমাদের সংষ্কৃতি বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর। আশা করব সুদীর্ঘ কোন পরিকল্পনা নিয়ে এ সংকট মোকাবেলায় আমরা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে। তিনি জানান পেশাদার ও অপেশাদার সংষ্কৃতি কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আমাদের প্রকল্প জমা আছে এ বিষয়েও আমরা কাজ শুরু করতে পারব।
সম্প্রতি সংষ্কুতি কর্মীরা বারবার তাদের জন্য অনুদানের আবেদন করে আসছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের জাতীয় জীবনে যে সংকট এসেছে তার মুখোমুখি সংস্কৃতিকর্মী এবং লোকশিল্পীগনও আছেন। তাদের আয়ের পথ আরো রুদ্ধ। সম্প্রতি তাদের জন্য প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন জানিয়ে জাতীয় ভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন।

এদেশের সংস্কৃতিকর্মীরা প্রধানত সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সংস্কৃতি চর্চা করে থাকে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে আজ কয়েক হাজার সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংস্কৃতি চর্চায় নিয়োজিত রয়েছে। এ সমস্ত দলের অধিকাংশ সদস্যই ছোট চাকুরি, ব্যবসা, টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করে- আবার অনেকে রয়েছে ছাত্র এবং বেকার। করোনা সংকটের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই পরিবারগুলো ব্যাপক আর্থিক অনটনের মধ্যে দিনযাপন করছে। অপরদিকে বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার লোকশিল্পী অস্থিত্বের সংকটে নিমজ্জিত। এমনই পরিস্থিতিতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন মহাসংকটের মুখোমুখি। এমন অবস্থায় শিল্পী কলাকুশলীদের সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এল শিল্পকলা একাডেমি।
