আজ বিপর্যস্ত মানব সমাজ। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের এই সংকটে সকল সংস্কৃতি কর্মী বিশ্ব মানুষের পাশে দাঁড়াবে জীবন জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। বৈশ্বিক বিপর্যয়ের এই উদ্ভূত পরিস্থিতির কারনে বাংলাদেশ সহ সকল দেশেই বিশ্ব নাট্য দিবস এর সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে। ১৯৬২ সাল থেকে সারা বিশ্বে প্রতিবছর এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও আড়ম্বর আয়োজনে উদ্যাপন করা হয় প্রতি বছর।
দেশে বিশ্বনাট্য দিবস ২০২০ সন্মাননার জন্য ঘোষিত হয়েছে দুটি নাম। মিলন চৌধুরী (নাট্যকার, নির্দেশক) এবং জনাব পরেশ আচার্য্য (অভিনেতা, সংগঠক)।
বিশ্বের নাট্যকর্মী ও শিল্পীদের মাঝে সৌহার্দ স্থাপন ও নাটকের শক্তিকে নতুন করে আবিষ্কার করর লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট-এর বাংলাদেশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ সম্মিলিতভাবে বিশ্ব নাট্যদিবস উদযাপন করে।
এবছর বাণী দিয়েছেন পাকিস্থানের আজোকা থিয়েটারের কর্ণধার ও নাট্যকার শাহীদ নাদিম। তার কর্মজীবন এবার ১৫টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং ২০টি ভাষার সংক্ষেপিত রুপ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট। আমরা জানি বিশ্বে বাংলাভাষার স্থান পঞ্চম। ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ কেন্দ্র বেশ সক্রিয় থাকা সত্বেও পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা বাংলায় তা অনুবাদ করে প্রচার করেনি আইটিআই।
১৯৮২ সালের জুন মাসে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত আইটিআইয়ের নবম কংগ্রেসে বিশ্ব নাট্য দিবস প্রবর্তনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। পরবর্তী বছর প্যারিসে অনুষ্ঠেয় (১৯৬২ সালে) থিয়েটার অব ন্যাশনস উৎসবের সূচনার দিনটি অর্থাৎ ২৭ মার্চ প্রতিবছর বিশ্ব নাট্য দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশেষ মর্যাদায় এই দিনটি উদ্যাপিত হয়ে আসছে।
